আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ২০০ জনে। দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়ার বুনের, বাজাউর এবং বাটগ্রামেই সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া অতিভারী বর্ষণে বহু মানুষ ভূমিধসে চাপা পড়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। কেবল বুনেরেই ১৫৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে গাডেজি তহশিলেই মারা গেছেন ১২০ জন। চাঘারজাই এলাকায় একটি ভবন চাপা পড়ে একই পরিবারের ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
খাইবার পাখতুনখোয়া বিপর্যয় মোকাবিলা এজেন্সি জানিয়েছে, শুধু এ প্রদেশেই গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ১৬৩ জন পুরুষ, ১৪ জন নারী ও ১২ শিশু। হিগুকান্দ ও পীর বাবা এলাকায় বহু নারী-শিশু এখনো আটকা পড়ে আছেন। আল মদিনা নামের একটি হোটেল বন্যার পানিতে সম্পূর্ণ ভেসে গেছে।
এদিকে বিপর্যস্ত অঞ্চলে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যেতে গিয়ে একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে দুই পাইলটসহ পাঁচজন নিহত হন। অন্যদিকে পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে ভূমিধসে আটজন নিহত হয়েছেন। নীলম ও ঝিলম উপত্যকায় প্রায় ৫০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন।
দুর্যোগপূর্ণ এই পরিস্থিতিতে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পর্যালোচনা করতে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে খাইবার পাখতুনখোয়াকে ‘বিপর্যস্ত এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা গেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে।
জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীও উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন। সূত্র : বিবিসি বাংলা
Leave a Reply